থোড় ছেঁচকি
ইদানিং কেউ কি খেয়েছেন? থোড় ছেঁচকি? অনেক আগে খেয়েছিলাম , মায়ের হাতের রান্না। কলাবতীর অন্তরের শাঁস, ভালবাসার ইষৎ উত্তাপে, কালো জিরে আর কাঁচা লঙ্কার মৃদুগন্ধ জড়ানো থোঁড় ছেঁচকি আজ খেলাম অনেক বছর পরে। আজ সারাদিনই ছিলাম নিতাইয়ের কাঁকুলিয়ার বাড়ীতে। উপলক্ষ্য একটা ছিলই। নিতাই যাচ্ছে ওর মেয়ের বাড়ী, জার্মানিতে। তাই দীর্ঘ প্রবাসের আগে বন্ধুদের সাথে একটু উষ্ণ, মদিরাময় সঙ্গ করার জন্যেই ওর আজকের এই আয়োজন। অবশ্য, ছেঁচকিতেই শেষ নয়, এর পরেই ছিল শুক্তো। কেন যে একে সুখ-তো বলে না, এটা ভেবেই আমার অবাক লাগে। শুক্তোর প্রতি গ্রাসেই অনন্ত সুখ যদি বলি, খুব কি অন্যায় হবে? আমার খুব পছন্দের পদ এটি। শুক্তোই সই। আর কিছু না পেলেও সয়ে যাবে। এতেই অবশ্য শেষ নয়। তবে চিকেন নৈব নৈব চ। চিকেনের বাড়াবাড়িতে সবার প্রাণ ওষ্ঠাগত। তাই নিতাইকে বলেছিলাম, মাছের ব্যবস্থা করতে। তাই শেষে মাছই এল। পাকা রুইয়ের রসময় পরিবেশনা। কোহিনূর বাসমতীর উড়তি হুয়া জওয়ানগির সঙ্গে রুইয়ের রসালাপ ভারী জমেছিল। শেষে একটু মিষ্টি মিষ্টি চাটনি হলে জমে উঠত ভারী। কিন্তু সেটি ছিল না, তার বদলে ছিল নকুড়ের জলভরা তালশাঁস। তার স্বাদ যদি আপনার অজানা তবে আপনার জন্যে রইল শুধুই দীর্ঘ শ্বাসই। এবার যদি হেঁদোর মোড়ে কখনও আসেন, অবশ্যই একবার নকুড়ের দোকান ঘুরে যাবেন। এ অবশ্য সবই শেষের কথা। এর মাঝে আগে কিছুতো আছেই।
আমাদের কথার মাঝেই নিতাইয়ের মেয়ের ফোন এল জার্মানি থেকে। বোঝা গেল ভারী বাপসোহাগী মেয়ে। খুব ভাল লাগল বাবা মেয়ের কথোপকথন । আমার অবশ্য দুটোই ছেলে। ছেলেরা একটু কাঠখোট্টাই হয়। মেয়েদের মত নয়। অবশ্য ব্যতিক্রম যে নেই তা নয়। তবে মেয়ে নিয়ে আমার মধ্যে ভারী এক অভাববোধ আছে। কবে সেই না আসার মেয়ের নাম ভেবে রেখেছিলাম হৈমন্তী। সেও এলো না, আর আমার দুঃখেরও হলো না শেষ। সে সব যাই হোক, আজকের কথাতেই আসি। না হওয়া কথা ভেবেই বা কি লাভ?
এত সব কথার আগে যে গৌরচন্দ্রিকা কিছু আছেই সে তো আপনাদের জানাই আছে। নতুন কিছু নয়। ওই যে যাকে বলে Neighbour's envy, blender's pride. তাতেই বেশীটা সময় চলে গেল। ছিল আমাদের steady man শেখর। বেশ কাটল সারাটা দিন, রশেবশে, আমোদে আহ্লাদে। রশে বশে থাকতে তো ঠাকুরেই বলে গেছেন। আমি আর নতুন করে কি বলব? বাকীটা বোঝার দায় আপনাদেরই।
ইদানিং কেউ কি খেয়েছেন? থোড় ছেঁচকি? অনেক আগে খেয়েছিলাম , মায়ের হাতের রান্না। কলাবতীর অন্তরের শাঁস, ভালবাসার ইষৎ উত্তাপে, কালো জিরে আর কাঁচা লঙ্কার মৃদুগন্ধ জড়ানো থোঁড় ছেঁচকি আজ খেলাম অনেক বছর পরে। আজ সারাদিনই ছিলাম নিতাইয়ের কাঁকুলিয়ার বাড়ীতে। উপলক্ষ্য একটা ছিলই। নিতাই যাচ্ছে ওর মেয়ের বাড়ী, জার্মানিতে। তাই দীর্ঘ প্রবাসের আগে বন্ধুদের সাথে একটু উষ্ণ, মদিরাময় সঙ্গ করার জন্যেই ওর আজকের এই আয়োজন। অবশ্য, ছেঁচকিতেই শেষ নয়, এর পরেই ছিল শুক্তো। কেন যে একে সুখ-তো বলে না, এটা ভেবেই আমার অবাক লাগে। শুক্তোর প্রতি গ্রাসেই অনন্ত সুখ যদি বলি, খুব কি অন্যায় হবে? আমার খুব পছন্দের পদ এটি। শুক্তোই সই। আর কিছু না পেলেও সয়ে যাবে। এতেই অবশ্য শেষ নয়। তবে চিকেন নৈব নৈব চ। চিকেনের বাড়াবাড়িতে সবার প্রাণ ওষ্ঠাগত। তাই নিতাইকে বলেছিলাম, মাছের ব্যবস্থা করতে। তাই শেষে মাছই এল। পাকা রুইয়ের রসময় পরিবেশনা। কোহিনূর বাসমতীর উড়তি হুয়া জওয়ানগির সঙ্গে রুইয়ের রসালাপ ভারী জমেছিল। শেষে একটু মিষ্টি মিষ্টি চাটনি হলে জমে উঠত ভারী। কিন্তু সেটি ছিল না, তার বদলে ছিল নকুড়ের জলভরা তালশাঁস। তার স্বাদ যদি আপনার অজানা তবে আপনার জন্যে রইল শুধুই দীর্ঘ শ্বাসই। এবার যদি হেঁদোর মোড়ে কখনও আসেন, অবশ্যই একবার নকুড়ের দোকান ঘুরে যাবেন। এ অবশ্য সবই শেষের কথা। এর মাঝে আগে কিছুতো আছেই।
আমাদের কথার মাঝেই নিতাইয়ের মেয়ের ফোন এল জার্মানি থেকে। বোঝা গেল ভারী বাপসোহাগী মেয়ে। খুব ভাল লাগল বাবা মেয়ের কথোপকথন । আমার অবশ্য দুটোই ছেলে। ছেলেরা একটু কাঠখোট্টাই হয়। মেয়েদের মত নয়। অবশ্য ব্যতিক্রম যে নেই তা নয়। তবে মেয়ে নিয়ে আমার মধ্যে ভারী এক অভাববোধ আছে। কবে সেই না আসার মেয়ের নাম ভেবে রেখেছিলাম হৈমন্তী। সেও এলো না, আর আমার দুঃখেরও হলো না শেষ। সে সব যাই হোক, আজকের কথাতেই আসি। না হওয়া কথা ভেবেই বা কি লাভ?
এত সব কথার আগে যে গৌরচন্দ্রিকা কিছু আছেই সে তো আপনাদের জানাই আছে। নতুন কিছু নয়। ওই যে যাকে বলে Neighbour's envy, blender's pride. তাতেই বেশীটা সময় চলে গেল। ছিল আমাদের steady man শেখর। বেশ কাটল সারাটা দিন, রশেবশে, আমোদে আহ্লাদে। রশে বশে থাকতে তো ঠাকুরেই বলে গেছেন। আমি আর নতুন করে কি বলব? বাকীটা বোঝার দায় আপনাদেরই।




