Monday, 2 September 2019

পঞ্চপাণ্ডব ও বন্দী শাজাহান

পঞ্চপাণ্ডবের সঙ্গে কি বন্দী শাজাহানকে মেলান যায়? সবাই নিশ্চয় সবেগে ঘাড় নাড়বেন,  কভি নেহি, কভি নেহি। কিন্তু আমাদের  ভাই বিরাদরীর এই ছোট্ট গ্রুপে সেটাই যে ঘটেছে। আমাদের প্রানভোমরা গুরুসম শেখর, যার দর্শন আর প্রদর্শিত পথেই আমাদের যাত্রা শুরু, সেই শেখরই আজ বন্দী দিল্লির কারাগারে। তৃষ্ণায় কাতর, কিন্তু আমরা অসহায়।  কিছুই করতে পারিনা ওর জন্যে। ভারী কড়া পাহারায় আছে সম্রাট । তবু্ও আমরা ভুলতে পারি কই। তাই সব যজ্ঞের আগেই সেই শিক্ষাগুরু শেখরকে ভিডিও কলে আহবান করেই ধুমধাম করে আমাদের যজ্ঞের শুরু হয়।

আজকের আসর ছিল বলরামের দীর্ঘ প্রবাসযাত্রার প্রাক্কালে এক ভারী ইমোশনাল সন্ধ্যা। পাক্কা তিনঘন্টার ফুল্টুস মস্তী। রোয়িং ক্লাবের আশকারায় যতরকম ফিচলেমির নির্লজ্জ আসর। আজ যে আমরা সবাই নিজের মনের কপাট খুলে বসেছিলুম শুধু তাই নয়। প্রকৃতিদেবীও তার দুয়ার খুলে অঝোর ধারায় ঝরে আমাদের আসরকে প্রলম্বিত করতে সাহায়্য করেছেন।কি খেলাম, কি খেলাম না উহ্য রাখলেও কারও অজানা নয়। আসল কথা আমরা বন্ধুত্বের জারক রসে সবাই ছিলাম আজ সংপৃক্ত । তাই স্কচ এল না টাকিলা তাতে খুব একটা হেরফের হয় নি। কি বললাম, কি বললাম না সেটা না শোনায় ভাল। ভারী নির্লজ্জ সব ব্যাপার,  নেহাৎই ইন বিটুইন ব্যাপার স্যাপার। আপনারা নাই শুনলেন।  তবে জাসট জমে গেল তিন ঘন্টার আসর। এর মাঝে ছিল প্রখ্যাত লেখক রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক আড্ডা। তার লেখা নিয়ে। এর মধ্যেই পল্টাও ঢুকে পড়ল বেশ। যে নাকি বাঙালী মেয়ের সাথে প্রেম করে বিয়ে করেও এক লাইন বাংলা বোঝে না৷ সেই দেখি রঞ্জনবাবুকে বগলদাবা করে নিল। একেই বলেই পাঞ্জাবীয়ত। সাহিত্যে যখন হয় না তখন রাস্তা মেলে দারুদর্শনেই। রঞ্জন বাবুও তখন সাহিত্য ছেড়ে দারুতেই স্থির হন।
আজকের ছবিগুলোই বলবে কিরকম হল  আজকের আড্ডা। এককথায় লা জবাব। অনেকদিন এইরকম প্রানখোলা আড্ডা হয়নি।  আমি সবসময়ই বলি সব সম্পর্কের উপরেই বন্ধুত্ব।। তার উপরে আর কিছু কি আছে? ঈশ্বর?  থাকলেও তার সাথে আমাদের আলাপ পরিচয় হয়নি মোটেই। হলে তাকেও আমাদের গ্রুপের মেম্বার ঠিক করে নেব।

No comments:

Post a Comment