মন চলে নিজ নিকেতনে,
এই সংসার বিদেশে, বিদেশীর বেশে
ভ্রম কেন অকারণে ..
শুনেছি রামকৃষ্ণ দেবের প্রিয় গানের মধ্যে এটি একটি। তা বলে আমাকে তার ভক্তদের মধ্যে ফেলবেন না। উনি ছিলেন ঈশ্বর নামে কোন এক অজানা অস্তিত্বের জন্য পাগল। আমিও প্রায় পাগল তবে সেয়ানা। ঈশ্বরের কোন অস্তিত্ব আমার অভিধানে নেই। আমাদের মাতালও বলতে পারেন। মন মাতাল। কোন এক কস্তুরীর তীব্র সুবাস তাড়িয়ে নিয়ে চলে। আমাদের মন ইতি উতি ভ্রমে কারণে অকারণে। সংসার নামক যন্ত্রণা সয়না দীর্ঘদিন। তখনই বেড়িয়ে পরি কোন এক দিকশুন্যপু্রের সন্ধানে। রামকৃষ্ণদেবের একটা কথা আমার ভারী প্রিয় সংসারে থাকবে পাকাল মাছের মত। আমরাও সব পাকাল মাছেরই জ্ঞাতিগুষ্টী। মাঝে মধ্যেই পিছলে বেরিয়ে পরি।
আজকেও সেই রকমই এক দিন। আমরা চারমূর্তি আবার পথে। আমাদের নেতৃত্বে আজ প্রফেসর শঙ্কু, চেনেন না? আরে ও আমাদের সুজিত আমাদের ভারী ইয়ারি দোস্ত। সঙ্গে ফেলুদাও যাচ্ছেন। তবে এ ফেলুদা কিন্তু পঞ্জাব তনয় রাভিন্দার পল্টা। এক্কেবারে পঞ্চনদীর তীরে বেণী পাকাইয়া শিরে। ও অবশ্য বেণীটা রাখেনি। এর কাছেই আমি দীক্ষিত। প্রায় বাঙ্গালী তবে হোবেটাকে এখনও হবে বলতে পারেনি। অব্যর্থ নিশানাবাজ। তবে ইদানিং এক চকিতাহরিণীর বাংলা কবিতার গুতোয় উনি নিজেই ধরাশায়ী। ও রাস্তা মাড়াচ্ছেন না মোটেই। এবার আর লালমোহনবাবু আসতে পারেননি। শুনেছি উনি ভুটানে ওনার নতুন উপন্যাসের প্লটের সন্ধানে। আমিও ওনার ওখানে যাচ্ছি আর দিন পাঁচেকের মধ্যেই৷ আর এসেছেন প্রফেসর শঙ্কুর বড়দা। ভারী মানী আর দামী লোক। আর আমি নীলু আসল নয় নীললোহিতের ক্লোন। আমার ভারী সাধ ছিল নীলুর মত হবার। তাই আজ সবাই মিলে দিকশুন্যপুরের খোঁজে। আমাদের মধ্যে ভারী মিলমিশ। আমরা সবাই সুরালোকের বাসিন্দা। সবাই সুরালাপী আর কি। আজ সনঝবেলা আমাদের সুরালাপ যে সুরধ্বনির সৃষ্টি করবে তা নিশ্চিত। তবে চলুন বেরিয়ে পরি কোন একদিকে। এ কদিন আমার কাজ হবে মহাভারতের সঞ্জয়ের মত। আপনাদের মত সংসারে অন্ধ আঁতুড়জনের জন্য নিয়ে আসব মুক্ত হাওয়া আর মুক্তির আশ্বাস। সঙ্গে থাকুন,চলতে থাকুন।















