Friday, 15 November 2019

অরণ্যের দিন রাত্রি

ইদানীং বেশ ঘন ঘন বেড়িয়ে পরা যাচ্ছে। ছোট ছোট ট্যুর। খুব বড় নয়, ৪/৫ দিনের! কাছেপিঠেই। এবার এলেম সীসামারা নদীর পাশে এক রিসর্টে। টংয়ের উপর বাড়ী। লোহার সিড়ি পেরিয়ে অনেকটাই উচুতে।  চারিদিক নিবিড় বনে ঘেরা আর সামনেই ছোট্ট পাহাড়ী নদী, সীসামারা। ঘরের সামনের বারান্দায় বসেই চোখে পড়ে ময়ুরের নাচ, নদীর পার ঘেষে দল বেঁধে তাদের খাদ্য অন্বেষণ । এবারের এই সফরে নদীর এক বিশেষ ভুমিকা। এই নদীর বর্ষায় হয়ত অন্যরুপ। তবে শীতের আগমনে সে যেন তটীনি সম এক সুন্দরী নারী। আমাদের  নারীবর্জিত এই ট্যুরে নারীর স্থান তার সব মাধুরী দিয়ে পরিপুর্ন করে রেখেছে সীসামারা নদী । পান পাত্র উছলি উঠিছে সকাল সন্ধ্যেই।  কচিপাঁঠা থেকে নদীর বোরোলী মাছ নিরন্তর মিটিয়ে যাচ্ছে রসনা। তবু এই বেড়ানোটা একেবারে অন্যরকম। অপার্থিব রকমের কিছু একটা।  আগে এমনটি হয়নি যেন কোন দিনও।

 সম্মোহিত করে রেখেছে আমাদের এই অরণ্য, এই নৈশব্দ, আর পুর্ণিমা চাঁদের আলোস্নাত এই নদী পাহাড় আর অরণ্য।   আমাদের  চন্দ্রাহত করে রেখেছে।  দিনরাত্রি তার সৌন্দর্যেই আমরা রমণীয় হয়ে উঠছি। এই নদীরুপ নারীর  বুকেই আমরা সমর্পন করেছি নিজেদের বারবার  প্রতিদিন।  সব ক্লান্তি ধুয়ে মুছে পরিপূর্ণ হয়ে উঠছে জীবন। জীবন যেন এখানে  এক অনন্ত রমণ। নদীর সাথে, পাহাড়ের সাথে অরণ্যের সাথে। আমরা  মেতে উঠেছি অনন্তের সাথে ক্লান্তিহীন সঙ্গমে। কে বলে জীবন ক্ষণস্থায়ী? আমরা খুজে পেলাম এমন এক জীবন যা অসীম, অনন্ত মধুময়।







No comments:

Post a Comment