Friday, 19 April 2019

এলোমেলো কথা

 এলোমেলো কথা

বলছি বটে আমার কথা। কিন্তু আদপে আমার কোন কথাই নেই৷ ফেসবুকে ইদানিং দুচার কথা লিখে ফেলি। কিন্তু সেগুলো শুধুই কথার কথা। সেসব কথার কোন মানে নেই,মুল্যও নেই। আমার কিছু কাছের জন আছে যারা দূরে হলেও আমায় ঠিক মনে রাখে মানে মনের মধ্যেই রাখে। তারা আমার এই সব বেচাল কথায় ভারী বিমর্ষ হয়। এই কদিন আগে লিখেছিলুম ইতালির এক আঙুরবাগানের সুন্দরীর কথা যার সাথে আমার দেখা হওয়ার কথা ছিল প্রেম হওয়ারও ছিল,কিন্তু সেটা আর ঘটেনি৷ বাংলা ব্যাকরণে কি সব কথা আছে না 'ঘটনাম অতীত',  আমারটা সেইরকমই অনেকটা। তবে আমার ক্ষেত্রে সেটা অঘটনাম। মানে ঘটা উচিৎ ছিল কিন্তু ঘটলনা। কি আর করা যাবে। আসলে মনের মধ্যে কতরকম ছবি ফুটে ওঠে কেউ কেউ মনে রাখে কেউ উড়িয়ে দেয় ফুৎকারে।  এসব ব্যাপারে আমি ভীষণ সঞ্চয়ী। মনের এই সব ফুলগুলোকে তরতাজা করে রাখি। মাঝে মাঝে তার সুবাস,সৌন্দর্য দুলিয়ে দিয়ে যায়। আর সেই দোলার ভাগ আপনাদেরও দিতে চাই। আর তাতেই কেউ কেউ মনক্ষুন্ন হয় বলে এত বয়স হল তবু্ও অশোকের জ্ঞানগম্যি হল না।
সত্যিই তো বয়স হয়তো অনেক হলো। কবে পেরিয়েছি তিনকুড়ি। তিনকুড়ির কথায় মনে পড়ল আমাদের ছোটবেলায় দেখেছি গাঁ গঞ্জের অনেকেই কুড়ির বেশি গুণতে পারত না। তাদের সব হিসেবই, কুড়ির গুণিতকে। যেমন তিনকুড়ি দশ,পাঁচ ইত্যাদি ।  এইরকম হিসেব। আমিও  সেরকমই একজন অজ্ঞানী।  আমার সব কুড়ির হিসেব। জ্ঞানী লোকেদের অনেক চোখ। চারিদিকে তাদের ক্ষর দৃষ্টি।  তারা অনেক দূর অনেক গভীরে দেখে । আমি কিন্তু মায়োপিকের দলে। বেশী দূরে দেখি না। আসলে আমি কুড়ির বাইরে বেরোতে চাই না। কুড়িই আমার জন্য যথেষ্ট। এর বেশি হলে সত্যি সত্যিই আমি বুড়িয়ে যাব। আর কেই বা বুড়ো হতে চাই। ওই জন্যই আমার পিঠে বেধেছি কুলো, কানে দিয়েছি তুলো। যে যাই বলুক আমি এইরকমই। আসলে বলছিলাম না মনের মধ্যে অনেক ছবি আঁকা হয় যা থেকেই যায়, মোছে না কিছুতেই। রবি ঠাকুরের ছিন্নপত্রের এক লেখায় এইরকম ইতালির এক আঙুরবাগান আর কিছু তরুণীর কথা পড়েছিলাম । সে ছবি কখন যেন আমার মনের মধ্যে ঢুকে গেছে আর আমিও সেই ছবির একজন হয়ে গেছি। আর তা নিয়েই যত অঘটন। রমেশ বলল এই বয়সে বউকে জড়িয়েই বেঁচে থাকা আর আমার এক তরুণী বান্ধবী বলল, যান তবে আঙুরবালার খোঁজে। খোঁজ?  সত্যিই এক গভীর কথা। আমরা কে যে কি খুঁজি তা কেই বা জানে। তবু চলা থেমে থাকে না। থেমে যাওয়া নেই আর থেমে গেলেই যে গভীর গহন অন্ধকার।  তাই চলতেই থাকুন। শত শত আলোকবর্ষ পেরিয়ে যান। এ চলার যেন শেষ না হয়।

পুনশ্চঃ ঘুম আসছিল না, তাই টাইম পাস করছিলাম। এখন ভোর হয়ে আসছে, উঠে পড়ুন,সামনে নতুন দিন। আমি এখন ঘুমোই। 

No comments:

Post a Comment