Saturday, 22 June 2019

আজ সকালে লেক থেকে ফেরার পথে, যোগোদ্যান রামকৃষ্ণ মঠে ঢুঁ মেরে গেলাম। আমার অবশ্য দেব দ্বিজ, গুরু এদের উপর ভক্তিশ্রদ্ধা একেবারেই নেই। তবে রামকৃষ্ণকে মোটের উপর আমার খারাপ লাগে না। দোষগুণ, খ্যাপামি, তার অসুস্থতা সব মিলিয়ে অন্য গুরুদের তুলনায় উনি সহনীয়।

রামকৃষ্ণের কথাকার,শ্রীমর এক নাতি আমার খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এদের মধ্যে রামচন্দ্র গুপ্ত, কর্মক্ষেত্রে আমার সহকর্মী ছিলেন। এত ভাল লোক আমি কমই দেখেছি। কিন্তু শেষজীবনে বড্ড কষ্ট পেয়েছেন। একমাত্র ছেলে আত্মহত্যা করেন। অন্য আরেকজন দীপক গু্প্ত,শ্রীমর প্রপৌত্র এবং আমার সহকর্মীর ভ্রাতুষ্পুত্র । ইনি বিদ্যাসাগর কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ছিলেন। অকৃতদার।  কেন জানিনা উনি আমাকে অসম্ভব স্নেহ করেন,ভালবাসেন। যখনই  কথামৃত ভবনে তার কাছে গিয়েছি, দেশী, বিদেশী ভক্তদের মধ্যে তার অখন্ড মনোযোগ পেয়েছি।  স্টেট ব্যাংকের ম্যানেজার থাকাকালীন উনি প্রায়ই আমার ঘরে এসে দীর্ঘক্ষণ আমার সঙ্গে গল্প করতেন। উনি অবসরের পর কথামৃত পড়ে বেরাতেন বিভিন্ন রামকৃষ্ণ মঠে। আমি তাকে রামকৃষ্ণের অনেক কিছুই যে আমার পছন্দ নয় তা বলতাম। সে সব শুনে তার জবাব, ওইটকু বাদ দিয়েই পড়ুন। আমি তার সাথে কয়েকবার কথামৃত পাঠে গিয়েছি। ঝামাপুকুর রাজবাড়ীতেও থেকেছি তার সাথে। বৃন্দা কারাত কিন্তু এই ঝামাপুকুর রাজবাড়ীর মেয়ে।

বহুদিন দীপকবাবুর খবর নিইনি। আজ বিষ্টু ঘোষের আখড়া থেকে ফেরার পথে, তার খোঁজ নিতে কথামৃত ভবনে যাব। ওখানেই থাকেন তিনি। হাই সুগারের পেশেন্ট। কি জানি কেমন আছেন? আজ আর যোগোদ্যান নিয়ে লেখা হলনা। তবে রামকৃষ্ণ ভক্তদের জন্য ছবি দিলাম কটা।  আজ সকালে তোলা। যোগোদ্যান রামকৃষ্ণ ভক্তদের কাছে খুবই গুরুত্বপুর্ণ তীর্থস্থান। রামকৃষ্ণ অনেকবার এখানে এসেছেন। এখানে তার চিতাভস্ম রক্ষিত আছে। সে ইতিহাস পরে বলব একদিন।

শেষে একটা কথা দিয়ে শেষ করি। রামকৃষ্ণ বারবার বলতেন আমি জিলিপি খাব, বাহ্যে যাব। জিলিপি তার খুব প্রিয় ছিল।  আমারও খুব পছন্দের এবং জিলিপির সাথে বাহ্যের একটা নিবিড় যোগাযোগ আছে। কোষ্টকাঠিন্যের রোগীরা খেয়ে দেখতে পারেন। যোগোদ্যানের কিছু ছবি দিলাম।

No comments:

Post a Comment