Saturday, 1 June 2019

শনিবারের বারবেলায়।

সাতজন্ম হেঁদুর ছেলে।  বারবেলা মানব না, তাও কি হয়। যতই বামঘেষা হয়, আদতে তো সাতপুরুষের ধম্মকম্ম ছেড়ে বেরোতে পারিনে মোটেই।  তাই বারোটাও নয় সব পালাপাব্বন চুকিয়ে বেরোলেম সেই ৫/৫-৩০ টাতেই। অভিলাষ,  ঠিক পৌঁছে যাবই সাড়ে ছটায়। আমার সময় জ্ঞান বড় টনটনে।  এক মিনিট এদিক ওদিক হয় না৷ কিন্তু আজ ভাসাবার বদলে ডোবাল সেই ওলায়। ৪ মিনিটে পৌঁছবে বলে সেই যে সে ডুব দেল, তাপ্পরে তার হদিশ পাই নে মোটেই। হ্যাঁচোড়প্যাঁচোড় করে শেষে পোঁছুলুম রোয়িং ক্লাবের দৌড় গোড়ায় পাক্কা আধ ঘন্টা দেরিতে।  রেলের দৌড় হলে কিছুই যেত আসত না৷ তবে এখানে দেরিতে আসা মানেই এক রাঊন্ড মিস। তবে আমিও ছোড়নে বালা পাত্তর নয়। ওই যে কথায় আছে না, ' চৌধুরীর পো -- -- খায় চোঁ-চোঁ।  তো আমিও কিছু কম চৌধুরী নয় পোঁ পোঁ করে এক দৌড়ে সব মেক আপ করে দিলুম।

এটুকু পড়েই আপনারা কি  জানি  কি ভাবছেন।  আসলে আমাদের ছোট্ট একটা গেট্টু ছিল আজ ক্যালকাটা রোয়িং ক্লাবে। আমি, বলরাম,  কুন্তলা, রেখা আর সুজিত।  আসলে সুজিত এমন একজন, যাকে বাদ দিয়ে কিছু হলেই শিবহীন যজ্ঞ হয়ে যায়। তাই সুজিতকে সামনে রেখেই আমাদের এই ছোট্ট আসর। ভারি ভব্যসভ্য এক ঘরোয়া আসর। প্রায় সবাই সফট আর কফি নিয়েই অজস্র কথা বলে গেল। আমি আর ভাই বলরামই শুধু গন্ডী পেরোলাম। একে যদি আপনার বলেন পেঁচোয় পাওয়া, তবে তাই৷  আমাদের তাতে বয়েই গেল।

No comments:

Post a Comment