Saturday, 6 April 2024

পান্তাভাত ও চোদ্দ ভূতের বাড়ী

 পান্তাভাত ও চোদ্দ ভূতের বাড়ী


মনে আছে তো সেই পুরনো হিন্দি গানটা?

"ডর লাগে তো গানা গা, ডর লাগে তো গানা গা" পুরনো হিন্দি সিনেমা। 

সত্যিই ভয় ভয় একটু লাগছে। শুধু আমারই না সবারই বোধহয়।  কেন সে তো সবাই জানেনই। তার নামটাও মুখে আনতেও গা ছমছম করছে। তবে কিনা ফুলবাগানের এই যে বাড়ীটা যেখানে আমরা থাকি তা ভুতেরই বাড়ী। চোদ্দো ভূত, মানে চোদ্দোজন ভুততুতো ভাই, বোন।সব ভুতের আলাদা আলাদা করে আজ আর পরিচয় দেবার অবকাশ নেই। মেছো ভুত,গেছো ভুত, বাঙাল ভুত,ঘটি ভুত হরেক রকমের ভুত সব।একটা গুহ্য কথা বলি? বাঙাল ফিমেল  ভুতেরা ভারী লড়াকু কিন্তু , আর গলায় ভারী তেজ। এদের তেজেই কিনা জানিনা, রায়, দত্ত মিত্রের দল ভারী কোনঠাসা। কিন্তু এখন সব ভুতই অদ্ভুত আচরণ  করছে, কাজকর্ম তো শিকেয়। ভুতের দল সব তিনতলার চিলেকোঠায় পা দুলিয়ে বসে একসুরে গাইছে। ওই যে বললাম, ডর লাগে তো গানা গা। আর একের পর এক চলছে, চায়ে পে চর্চা, বুজবুজের আসর, চুলকাটার সেলুন। এসব চলছেই এবেলা ওবলা। 


তবে আজ বসেছিল একটু অন্যরকম আসর। লাঞ্চে আজ গুষ্টির শান্তিকল্পে  ছিল ঠান্ডা ঠান্ডা, চিল চিল পান্তাভাতের আসর। গোটা বাড়ীর পাত পড়েছিল একসাথে। সবাই গপগপ নয় সপসপ করে খেয়ে নিল । নেবু,নঙ্কা আর পেয়াজুঁ দিয়ে। সঙ্গে আলুচোখা আর কালকের আমডাল,  বেশ লাগল কিন্তু। বেশ জোস এসে গেল। ইমুইনিটি যেন একধাক্কায় বেড়েই গেল অনেকটাই। মনে হল হাম হঙ্গে কামইয়াদ। এই বন্দীদশার ভয় কাটাতে আর কি কি চাই? পান্তাভাত আজ সুপারডুপার হিট। আমি বলি কি আপনারাও বসিয়ে দিন পান্তাভাতের আসর। এতে শুধু সময় আর পরিশ্রমই বাঁচবে না। বাড়বে আপনার ইমুইনিটি আর লড়াই করার জোশ। আর যেটার স্টক আপনার প্রায় শেষ, সেটাও পেয়ে যাবেন পান্তাভাত আর কদিন জমিয়ে রাখলেই। তখন আপনি আহ্লাদে গড়াগড়ি যাবেন নির্ঘাৎ।  তবে আমাকে দুর থেকে আর্শীবাদ করতে ভুলবেন না। আর যাই ভুলুন, ভুলবেন না safe distacing.. ঠিক কিনা?

No comments:

Post a Comment