আজকের সকালটা বেশ প্লেসেন্ট। প্লেসেন্টের বাংলা যে ঠিক কি, তা জানিনা। হয়ত বলরাম জানে। আমাদের বড়ভাই তো, সব জানে। প্লেসেন্ট বা মধুর যাইহোক বেশ ঠান্ডি ঠান্ডি হাওয়া। চারিদিকে কোকিলের ডাক শুধু কুহু কুহু করে। এখন আশেপাশে প্রচুর কোকিলের আনাগোনা। কি জানি মোদির কিনা? সারাক্ষন আচ্ছে দিনের গান গেয়ে চলেছে। সে যাই হোক,বেশ রোমান্টিক এটমস্ফেয়ার কিন্তু। যাই বলুন আর তাই বলুন বেশ লাগে। বয়স যায় হোক,ভাল লাগাতে কোন বাঁধা তো নেই? তাই বেশ শরীফ মেজাজে বহুক্ষণ দৌড়াদৌড়ি করলুম লেকে। বেশ জোঁশ এসে গেল। মনে এলো নানা চিন্তা। সেই কবে কাশ্মীরে রোগন জোশ খেয়েছিলুম তার স্বাদ টা বেশ তালু ছাড়িয়ে সারা তনমন কে কেমন আচ্ছন্ন করে রেখেছিল। আমি যে খুব খাইয়ে তা অবশ্যি নয়, তবে সমঝদারী আমাদের রক্তে। এটা মানতেই হবে। আজ অবশ্য রোগন জোশ পাওয়া যাবে না। আর পেলেও সে পঁহেলগাও তো পাবোনা, তাই রোগন জোস আজ থাক তোলা। হবে'খন একদিন।
গত পরশু আমাদের ভি আই পি বাজারের কালা একটা বিরাট বাংলাদেশী ইলিশ গছিয়ে দিয়েছিল। ওকে এড়ান মুশকিল। শুরুই করবে দাদা আপনার জন্যে জলের দাম। সে জলের দাম শুনে আঁতকে উঠতে হয়। যাইহোক সাহস দেখিয়ে কিনেই ফেলেছিলুম। তবে এটাও ঠিক কালা দাম নিলেও, দরের জিনিস দেয়। কোন কমপ্লেন করাই যাবে না৷ এতই দিলখুশ স্বাদ ছিল সে ইলিশের।
ফেরার পথে পড়ল কাদাপাড়া বাজার। সেখানে নিলাম ফনফনে পুঁই শাক, কুমড়ো আর বেগুন আর ঝাড়াঝাপটা বাটা মাছ। মেনুও ঠিক করে নিয়েছি। আজ ইলিশের মাথা দিয়ে পুইশাক, কলাইয়ের ডাল বেগুন দিয়ে, হিং আর মৌরীর হাল্কা গন্ধ মাখা। খাস মুর্শিদাবাদী রেসিপি।আর বাটা মাছের ঝাল। আর অবশ্যই আমের পাতলা টক বা অম্বল যাই বলুন। শেষ পাতে একটু লালদই খেতেও পারি৷
তবে যাই খাই না কেন খাব অল্প। কিঁউ কি, বিন্দুতে সিন্ধুর আস্বাদ নিতে আমি বেশ জানি। সেও কিন্তু যোগেরই এক অঙ্গ। চেষ্টা করুন, আপনিও পারবেন৷
বাকী রয়ে গেল রোগন জোশ। সেও হবে পঁহেলগাও তে গিয়েই৷সেপ্টেম্বরে কাশ্মীর যাবার টিকিট কাটা হয়ে গেছে। ফেরার পথে পঁহেলগাও দিন তিনেক। আর পঁহেলগাওর রোগন জোস মানেই দিলখোশ।
No comments:
Post a Comment