Tuesday, 11 March 2025

বসন্তোউৎসব

 বসন্তোৎসব 










আজ রাজামশাইয়ের ডাক ছিল শোভাবাজার রাজবাড়ীর বসন্তোৎসবে যাবার৷ প্রতিবারই যাই। মাঝে অবশ্য দু'বছর বন্ধ ছিল কোভিডকে লিয়ে৷ তবে এবার না হওয়ার কোন কারণ ছিল না। আর হয়েছেও। তবে  বোধহয় যথেষ্ট প্রস্তুতি ছিল না তাই হয়েছে একটু এলেমেলো। যাই হোক, রঙ ছিল যৌবন ছিল, ছিল তার উচ্ছাসও। বসন্তে এর থেকে আর কিই বা বেশী দরকার।  ফানুস উড়ল,  আবীর উড়ল, উড়ে পড়ল আবেগ । সে খবরে আমাদের কিই বা দরকার। তবে বেশ আমোদ হলো৷ তিনটে ঘন্টা নিমেষে গেল কেটে।


এরপর আমার গন্তব্য আর কোথায় বা হতে পারে৷ আছে এক জায়গা৷ সে হলো দর্জীপাড়া৷ নতুনদার কাছে। ঘন্টা দুয়েক চুটিয়ে আড্ডা।  তারপর,  ঠাকুরবাড়ী। এ পাড়ায় মোড়ে মোড়ে পারিবারিক সব মন্দির। তার নিত্য পূজা, নিত্য আরতি৷ সেরকমই এক মন্দিরে ঢুকে পড়লাম।  আমি অবশ্য অবিশ্বাসীর দলে। তাই মাথা আর ঝোঁকায় নি। ঘাড় টেঁড়া করেই বেশ উপভোগ করলাম। অবিশ্বাসী হতে পারি, তবে এই বিশ্বাসের রুপটাও দূর থেকে দেখতে বেশ লাগে।  সে আরতির একটা ভিডিও দিয়েছি এর সাথে৷ 


এরপর কি? এবার শাউওয়ের তেলেভাজার  দোকানে। নেতাজী নাকি এখানে চপ খেতেন? এরা অবশ্য ২৩ এ জানুয়ারি বিনে পয়সায় তেলেভাজা বিলি করে। এখানেই ধোঁকা কিনলাম বড় বড় মোটাসোটা। কাল ধোঁকার ডালনা খাব। বসন্ত উৎসবের পর ধোঁকা কি এন্টি ক্লাইমাক্স লাগছে? লাগুক কিন্তু I simply love Dhonkar Dalona.ধোঁকা আজ পর্যন্ত কেউ অবশ্য আমাকে দেয়নি।  I swear. আপনি যদি জীবনে ধোঁকা খেয়ে থাকেন, সে দায়িত্ব আপনারই৷ কেই বা সে দায়িত্ব নেবে?


এবার ফেরার পেলা৷ আমার পছন্দের যান বলুন বা বাহন, সে হচ্ছে হন্টন৷ সেই রাজা নবকৃষ্ণ রোড ধরে, হরি ঘোষ স্ট্রিট দিয়ে, দর্জীপাড়া ঘুরে, গোয়াবাগান,  রাজা দীনেন্দ্র স্ট্রিট দিয়ে, মানিকতলা, কাঁকুড়গাছি পেরিয়ে হেঁটে হেঁটেই একেলা একেলা চলা। জীবনের মরণের পথে যে একেলা একেলাই হাঁটতে হয়, তা কি কারুর অজানা?

No comments:

Post a Comment