Friday, 21 March 2025

রেলী নদীর ধারে

 সুখস্মৃতি

আগে কেমন সুন্দর দিন কাটাইতাম


এসে গেছি রেলি। চারিদিকে পাহাড়। মাঝখানে ছোট্ট একটা ভ্যালী। আর ভ্যালীর পাশ দিয়ে গেছে ছোট্ট একটা পাহাড়ী নদী। সেই নদীর নামও রেলী। এখন শীতের শেষে সেই নদীতে জল নেই  বিশেষ। মাঝে মাঝে তিরতিরে একটা ধারা দেখা যায় সেই নদীর কোথাও কোথাও।  আশেপাশে লোকালয় খুব কিছু নেই। নেই দোকান বাজারও। নেই যে সেটা লাঞ্চের টেবিলে বসেই বোঝা গেল। আমাদের ১৭ জনের টিমের খোরপোষ তো কম নয়। তাই রিসোর্টের বাচ্চা দুটো মেয়ের আমাদের খাবারের জোগান দিতে প্রাণান্ত। আজ লাঞ্চে সামান্যই মেনু। ভাত, ডাল, আলুভাজা আর চিকেন। মাঝপথে আলুভাজাও শেষ। কি করবে বেচারীরা? ধারেপিঠে দোকানও নেই, যে দৌড়ে গিয়ে নিয়ে আসবে। তবে আমদের গ্রুপের ছেলেরা ভারি এডজাস্টিং নেচারের। এসব নিয়ে কারুর কোন অভিযোগও নেই। রাত্রে শুনেছি সেই বিখ্যাত ডিম্ভাত। আলু নেই। তাই শুধুই ডিম। কাল কি হবে জানি না। হবে নিশ্চয় কিছু। ননী যখন আমাদের মুখিয়া। তখন সবই হয়ে যাবে। আমাদের আকর্ষন অবশ্য এইসব সামান্য ব্যাপারে মোটেই সীমাবদ্ধ নয়। তরল রঙীন পানীয়ের সুপ্রচুর আয়োজন। রেলী নদীতে জলের অভাব হতে পারে, কিন্তু ননীর ওয়াটার অফ ইন্ডিয়ার অশেষ আয়োজন।  এই আছে আর নেইয়ের মধ্যে দুটো দিন বেশ কেটে যাবে। এই পাহাড়, অরণ্য, শুদ্ধ বাতাস আর মনে পুলক আর বড়িয়া যাম থাকলে, কিসেরই বা অভাব আর কিসেরই বা প্রয়োজন? 

রেলীর পরেই দুটো দিন বড়া মাঙ্গুয়ায়। সেখানেই দোলের বিশেষ আয়োজন। সে এক বিশেষ বাৎসারিক উৎসব। বলে বোঝানো না মুনকিন। তবে উড়বে ফাগ, যে সে ফাগ নয়, অর্গানিক আবীর। আর খানাপিনার দেদার আয়োজন। সব থরে থরে সাজানো আছে। সঙ্গে ভদ্রেশ্বরের ফেলু মোদকের রকমারি সন্দেশও।














No comments:

Post a Comment