উঁহু, যা ভাবছেন তা নয়। মাথায় ক্যাপ পরে একে মনে হতে পারে ডক্টর দেবী শেঠীর ছোট ভাই। কিন্তু আদতে লালন অন্য পরিবেশের মানুষ। লালনের জন্ম এক দরিদ্র মুসলমান পরিবারে। লালবাগে কাটরা মসজিদের পেছনে কাপাসডাঙ্গা গ্রামে লালনের জন্ম। জীবন শুরু খুব সামান্য কাজ দিয়েই,কারণ শিক্ষার জোর বা অর্থবল কোনটাই তার পেছনে ছিল না। তার কাজের শুরু রাজমিস্ত্রির সামান্য জোগাড়ে হিসেবে। কিন্তু তার একটাই গুণ, যে কাজই করেছে, সে করেছে অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে। কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা হয়ত তার নেই, কিন্তু জীবনের কোন শিক্ষাই সে অবহেলা করেনি। ছিল জোগাড়ে, হল রাজমিস্ত্রী। তারপর, কলকাতা ডকে কেটে গেল কয়েকটা বছর। সেখানে সে পরে গেল এক ফিল্ম প্রোডিউসারের চোখে। তার সাথে কাটল বেশ কয়েকটা বছর। সিরিয়াল,ফিল্ম, সর্ট ফিল্মেও সচ্ছন্দে কাজ করল। তার ব্যবহারের গুণে বহু নামীদামি অভিনেতা, অভিনেত্রীর কাছের মানুষ হয়ে উঠল।
কিন্তু বাবার মৃত্যুর পর, সংসারের প্রয়োজনে ফিরেও এল লালবাগে। কাজ নিল সাগ্নিক হোটেলে৷ সামান্য হোটেল বয় থেকে হয়ে উঠল, সাগ্নিকের ক্যাটারিং ইনচার্জ। পাক্কা রসুইকার। তার রন্ধনশৈলির জাদুতে, সাগ্নিকের সুনাম আজ চারিদিকে । আমি বেশ কয়েক বছর থেকেই লালনকে চিনি। তার বিবর্তন আমাকে মুগ্ধ করে। এত সহজ ও সুন্দরভাবে লালন জীবনের শিক্ষাকে আয়ত্ত্ব করেছে,যা তার ব্যক্তিগত জীবনকেও মহিমান্বিত করেছে। দুই বোনের বিয়ে, ভাইদের প্রতিষ্ঠিত করা,কোনটাতেই কোন ত্রুটি রাখেনি। আজ তার বিরাট বাড়ি। সুন্দরী বউ। আমবাগান। আমার নেমন্তন্ন এবার ওর বাড়িতে আম খাবার। আমি তো আসবই। আপনারাও আমার সঙ্গী হতে পারেন।







No comments:
Post a Comment