ভূত না-ভূতের গপ্প
আপনারা কেউ কি ভূতে বিশ্বাস করেন বা ভগবানে? আসলে বিশ্বাস আছে বললেই যে তাকে ইনিয়ে বিনিয়ে দশ বিশটা কারণ দেখাতে হবে তা নয়। আসলে বিশ্বাস আছে বললেই হবে। কিউ কি, বিশ্বাসটা আমাদের ভীষণ প্রেয়োজন😁। কারণ এই বিশ্বাস না থাকলে আমি,আপনি কোন দমকা হাওয়ায় উড়ে গিয়ে কোন কৃষ্ণ গহবরের ভেতর সেঁধিয়ে যাব সে কোন শর্মাই বলতে পারবে না। তাই ভয়ে বা ভক্তি যাই হোক, বিশ্বেস ভারী জরুরী আর উপকারীও।
আমার আবার ভূত আর ভগবান দুটোতেই ভারী ভক্তি। ভগবান কে দেখিনি ঠিকই কিন্তু লক্ষ কোটি মানুষের বিশ্বাসে, শ্রদ্ধায় তার অস্তিত্বের একটা আভাস তো পাওয়া যায়। বৈষ্ণোদেবীতে যখন গিয়েছি দেখি একই রাস্তায় হাজারো মানুষের ভীড়। তারা সবাই যে শক্তসবল তাও নয়। তবু কি এক বিশ্বাস তাদের টেনে নিয়ে চলেছে শিখরের দিকে। তারা শেষে কি পেল জানি না? বেদীতে বসান বৈষ্ণোদেবীর তিন টুকরো পাথর আমার বিশ্বাসের নিক্তিতে স্থান পায়নি ঠিকই কিন্তু আসার পথে শত সহস্র মানুষের যে বিশ্বাসের রুপ আমি দেখেছি তাকে উড়িয়ে দেব এমন সাধ্যি আমার নেই। শুধু যে তীর্থস্থানেই ভগবানের দেখা মেলে তা কিন্তু নয়। পথে বেরোলেই তার দেখা মেলে। আজকেই সুফি সাধক রুমির একটা লেখা চোখে পরল।
ভ্রমণে বেরোলেই তুমি পাবে শক্তি আর ভালোবাসা। আর ভালবাসাই তো ভগবান। আমার ভগবান আমার এই দেশ,এই পৃথিবী আর তার লক্ষকোটি মানুষ। এই ভগবানের দেখা মেলে চলার পথে, চেনা অচেনার ভিড়ে।
আর ভূতেও আমার ভারী বিশ্বেস আর ভালোবাসাও।সেই কবে ডিকেন্সের " ক্রিশমাশ ক্যারল' এর সেই উপকারী ভূতকে ভালোবেসে ফেলেছিলুম,সেই ভালবাসা সময়ের সাথে সাথে গাড় হয়েছে কিন্তু একটুও ম্লান হয়নি, দ্যুতি ছড়িয়েই চলেছে। এ ভূতেদের আমি দেখেছি, আমার ছোটবেলা জুড়ে জড়িয়ে আছে তারা। আমার ছোটবেলা কেটেছে জিয়াগঞ্জের ভট্ট পাড়ায়। আমাদের বন্ধু, পাঠ ভবনের অনিরুদ্ধ, তার দেশের বাড়ি এই ভট্টপাড়ায়। তো এখানের ভূত বলুন বা অশরীরী, তারা কিন্তু ভারী মানুষ ঘেষা। সন্ধ্যে হতেই তারা আমাদের সঙ্গী হত। ঘরে, বাইরে, আবছা আলোর ঝাপসা অন্ধকারে তাদের উপস্থিতি বেশ ভরসা যোগাত আমাদের। এবার বহুবছর পরে জিয়াগঞ্জে গিয়ে তাদের আর দেখা পেলুম না। আমাদের পুরনো শ্যাওলা ধরা বাড়ির জায়গায় মাল্টিস্টোরিড ফ্ল্যাট বাড়ি। তারা আর নেই। সেইসব ভূতেরা বোধহয় আমার ছোটবেলার মতই হারিয়ে গেছে। আর ফিরে আসবে না।
আপনারা কেউ কি ভূতে বিশ্বাস করেন বা ভগবানে? আসলে বিশ্বাস আছে বললেই যে তাকে ইনিয়ে বিনিয়ে দশ বিশটা কারণ দেখাতে হবে তা নয়। আসলে বিশ্বাস আছে বললেই হবে। কিউ কি, বিশ্বাসটা আমাদের ভীষণ প্রেয়োজন😁। কারণ এই বিশ্বাস না থাকলে আমি,আপনি কোন দমকা হাওয়ায় উড়ে গিয়ে কোন কৃষ্ণ গহবরের ভেতর সেঁধিয়ে যাব সে কোন শর্মাই বলতে পারবে না। তাই ভয়ে বা ভক্তি যাই হোক, বিশ্বেস ভারী জরুরী আর উপকারীও।
আমার আবার ভূত আর ভগবান দুটোতেই ভারী ভক্তি। ভগবান কে দেখিনি ঠিকই কিন্তু লক্ষ কোটি মানুষের বিশ্বাসে, শ্রদ্ধায় তার অস্তিত্বের একটা আভাস তো পাওয়া যায়। বৈষ্ণোদেবীতে যখন গিয়েছি দেখি একই রাস্তায় হাজারো মানুষের ভীড়। তারা সবাই যে শক্তসবল তাও নয়। তবু কি এক বিশ্বাস তাদের টেনে নিয়ে চলেছে শিখরের দিকে। তারা শেষে কি পেল জানি না? বেদীতে বসান বৈষ্ণোদেবীর তিন টুকরো পাথর আমার বিশ্বাসের নিক্তিতে স্থান পায়নি ঠিকই কিন্তু আসার পথে শত সহস্র মানুষের যে বিশ্বাসের রুপ আমি দেখেছি তাকে উড়িয়ে দেব এমন সাধ্যি আমার নেই। শুধু যে তীর্থস্থানেই ভগবানের দেখা মেলে তা কিন্তু নয়। পথে বেরোলেই তার দেখা মেলে। আজকেই সুফি সাধক রুমির একটা লেখা চোখে পরল।
ভ্রমণে বেরোলেই তুমি পাবে শক্তি আর ভালোবাসা। আর ভালবাসাই তো ভগবান। আমার ভগবান আমার এই দেশ,এই পৃথিবী আর তার লক্ষকোটি মানুষ। এই ভগবানের দেখা মেলে চলার পথে, চেনা অচেনার ভিড়ে।
আর ভূতেও আমার ভারী বিশ্বেস আর ভালোবাসাও।সেই কবে ডিকেন্সের " ক্রিশমাশ ক্যারল' এর সেই উপকারী ভূতকে ভালোবেসে ফেলেছিলুম,সেই ভালবাসা সময়ের সাথে সাথে গাড় হয়েছে কিন্তু একটুও ম্লান হয়নি, দ্যুতি ছড়িয়েই চলেছে। এ ভূতেদের আমি দেখেছি, আমার ছোটবেলা জুড়ে জড়িয়ে আছে তারা। আমার ছোটবেলা কেটেছে জিয়াগঞ্জের ভট্ট পাড়ায়। আমাদের বন্ধু, পাঠ ভবনের অনিরুদ্ধ, তার দেশের বাড়ি এই ভট্টপাড়ায়। তো এখানের ভূত বলুন বা অশরীরী, তারা কিন্তু ভারী মানুষ ঘেষা। সন্ধ্যে হতেই তারা আমাদের সঙ্গী হত। ঘরে, বাইরে, আবছা আলোর ঝাপসা অন্ধকারে তাদের উপস্থিতি বেশ ভরসা যোগাত আমাদের। এবার বহুবছর পরে জিয়াগঞ্জে গিয়ে তাদের আর দেখা পেলুম না। আমাদের পুরনো শ্যাওলা ধরা বাড়ির জায়গায় মাল্টিস্টোরিড ফ্ল্যাট বাড়ি। তারা আর নেই। সেইসব ভূতেরা বোধহয় আমার ছোটবেলার মতই হারিয়ে গেছে। আর ফিরে আসবে না।
No comments:
Post a Comment