Saturday, 25 May 2019

হঠাৎ বৃষ্টি সঙ্গে সিঙ্গারা

আমাদের এই ফুলবাগান অঞ্চলে যমুনার সিঙ্গারার ভারী নামডাক। পরতে পায় না। ঘন্টাখানেকের মধ্যেই চাঙারি ভরা সিঙারা সাফ। এ কিন্তু হলদিরামি সিঙ্গারা নয়। বাঙালী সিঙারা। বাঙালির মতই ছোটখাটো গড়ন। কিন্ত ভারি মিষ্টি স্বভাবের।

তবে, ডালডায় ভাজা। ডালডা শুনে নাক কুঁচকোবেন না। ডালডায় ভাজার একটা আলাদা স্বোয়াদ আছে, সেটা কি মনে আছে? মনে না থাকলে একদিন খেয়ে দেখুন। ভারী আলাদা রকম।
একটা কামড় মাললেই এর খাস্তা স্বাদ মন কেড়ে নেবে। ভেতরে মিষ্টি মিষ্টি তরকারি আর ছোট্ট এক টুকরো বাদাম। খেতে খেতে মনে হবে সারা শরীর মন  যেন সুরবাহার হয়ে ঝরে পরছে।

আজ আখড়ায় যাইনি। বাড়িতেই হাফ আখড়াই করে নিয়েছি।  এ কিন্তু কালোয়াতি আখড়াই নয়। যোগা মানে বিশুদ্ধ যোগাভ্যাস। এমন দিন কি গেছে,যেদিন আমি যোগভ্রষ্ট হয়েছি? বোধহয় নয়।  আখড়ায় না যাওয়াতে হাতে সময় এসে গেল কিছু। হাঁটতে বেড়ুলুম। ইচ্ছে ছিল ফুচকা খাবার, ফুচকায় ভারী পেট পরিস্কার হয়। এটা নিশ্চয়ই জানা। না? তাহলে এখন তো জানলেন। অসুবিধে হলে ফুচকাওয়ালা ডাকবেন, ঠিক কাজ দেবে। কিন্তু, ফুচকাই আজ ভারী ভিড়। ফুচকাওয়ালা সবসময়ই নারী বেষ্টিত হয়ে থাকে। কাছে যাবার ফাঁকফোকর পেলেম না।

তবে  আজ মনে একটা ক্ষীণ প্ররোচনা কাজ করছিল। সুদীপদার চিটিং ডের মতো কিছু একটা  করে ফেলি? ডায়েটিশিয়ানের মেনু  ঢের মেনে চলেছি  গত পাঁচ সপ্তাহ ধরে। একটা দিন চিটিং, সেতো আমার হকের পাওনা। জীবনে যদি একটু আধটু চিটিং না থাকে তাহলে জীবনের রঙ রুপ বড় ফিকে হয়ে যায়। তাই পেয়েই গেলাম তাকে মানে যমুনার সিঙারাকে। আর তাকে হস্তগত করেই হাঁটা দিলুম ।  মনে বড় সাধ আজ দিদির পাতা আসনে বসে এর সদগতি করব। এর মধ্যেই এল বৃষ্টি, বসা না হলেও হালকা বৃষ্টির ছাটে সারা শরীর মন স্নিগ্ধ করে, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই আজ আমার চিটিং এর প্রথম হাতেখড়ি হল।

No comments:

Post a Comment