অর্ধেক জীবন
আজ সকালে অনেকক্ষণ ধ্যানে বসেছিলুম। রোজই বসি। আজ বসেছিলাম দীর্ঘ ক্ষন। কোন গুরু নয়, নেই কোন দেবদেবী। নেহাৎই শূন্যের ধ্যান। হয়ত শুনে অনেকেরই অবাক লাগবে। এ আবার হয় নাকি? অয় অয় zIনতি পার না। আসলে সবই তো শূন্য দিয়ে শুরু। আর শূন্যতেই শেষ। এই শুন্যের সাথে যদি আপনার একটু ইয়ারদোস্তি হয় তাহলে দেখবেন আপনাকে আর কেউ ডরপুক আদমি বলবে না। আসলে আমাদের যত ভয় সব তো এই শূন্যকে ঘিরেই। তাই যখন শূন্যের পিঠে চেপে দোল খাবেন, দেখবেন ভয়ের সাগর আপনি কখন পেরিয়ে মহানন্দে মহাকাশের দোলনায় দোল খাচ্ছেন। অনেকটাই সেইরকম। তো আজ সকালের শূন্যফল হল ভারী জবরদস্ত। তনমন সব সাফ। একটু গোদা উদাহরণ দিই। ধরুন কোন এক কোষ্টকাঠিন্যে ক্লীষ্ঠ বাঙালী বাবু, কোন এক ' আজি এ প্রভাতে রবির করের মত..." দীর্ঘ দিনের ক্লেদমুক্ত হলে, তার মধ্যে যেমন একটা দিব্য অনুভূতি জাগে তার থেকেও দিব্যতর এক অনুভূতির রাজ্যে আপনার প্রবেশাধিকার ঘটবে। তাই বন্ধু,অবন্ধু সবাইকে আমার আমন্ত্রণ এই শূন্য রাজ্যে। সুনীলের দিকশূন্যপুর তো সবাই পড়েছেন, এ তারও গভীর গহনে। যেতে গেলে চাই ধৈর্য আর এক চামচে সাহস। শরীর শূন্য,মন শূন্য,ভয়শূন্য ভারী এক চমকদার অবস্থা। স্পেশ ষ্টেশনের মহাকাশচারীদের তো দেখেছেন, কেমন ভেসে ভেসে বেড়ায়। সেইরকমই হবে আপনার এই শুন্য সফর। শুরু করুন নেতি নেতি দিয়েই। মায়া শূন্য, মমতা শুন্য, দেহ শূন্য আরো আরো এগিয়ে যান। দেখবেন আলোয় আলোয় ভরা। কোন অন্ধকার নেই, ভয় নেই, নেই কোন বন্ধন। এক আনন্দময় জীবন হবে আপনার। তখন আমার কথা যদি মনে পরে একটু মুচকি মুচকি হাসবেন। এতে কোন গুরু লাগে না। শুধু বসে পরা, চাইলে শুয়েও পরতে পারেন।
ভেবেছিলাম আজ অর্ধেক জীবনের কথা বলব আপনাদের। কিন্তু শূন্য নিয়েই বহুক্ষণ ঘ্যানর ঘ্যানর করলাম। ফেসবুক কি এর বেশি ট্রাশ এলাও করবে? যা হোক, অর্ধেক না হোক সিকি দিয়েই শুরু করি। আসলে সকালের শূন্য বড় পুন্য, পুর্ণও রাখে আমায় সারাদিন। ভারী দিলবাহার হয়ে থাকি। আর শুরু করে দি আমার সফর। এ সফরে ট্রেন, প্লেনের টিকেটও কাটতে হয়না। নেই হোটেল,হলিডে হোম বুকিংএর ঝক্কি। চাই একটা ইচ্ছে গাড়ি তাতে টাইম মেশিন লাগানো। এ দেশ, সে দেশ, মহাদেশ মহাবিশ্ব সব জায়গায় আমার অবাধ যাতায়াত। আমার বর্তমান তো শুধু বর্তমান নয়, অতীত, ভবিষ্যৎ সব দিয়ে মোড়া। একেই বলে ম্যাজিক রিয়েলিজম। আমি এখানকারই বাসিন্দা। তাই আমার কোন বন্ধন নেই, পিছুটান নেই, সচ্চিদানন্দ হয়ে বসে আছি। আমার অতীতেরা আমার বর্তমানে হানা দেয়, ভবিষ্যতের কেউ কেউ উকি মারে। সবার সাথেই আমার ভারী সদ্ভাব। আপনারা কি করবেন, সেটা আপনাদেরই বিবেচ্য। এ ব্যাপারে আমি দিদির মতই ব্যক্তি সাধনায় ভারী বিশ্বাসী। আমাকে দেখে আপনারা ছাপ্পা মারুন, এ আমি চাইব না মোটেই।
অনেক বকর বকর হল। আমার অর্ধেক জীবনের একটা কথাই বলি শুধু আজ। আমার ইস্কুল বেলায় উর্দু শিখেছিলাম বেশ। আমাকে শিখিয়েছিল আমার ক্লাসের কামার আলি। লিখতে, পড়তে বেশ শিখেছিলাম । কিন্তু সে অভ্যেস রাখতে পারিনি মোটেই। প্রায় ভুলেই গেছি। কিন্তু ভারী খারাপ লাগে যখন গালিব, রুমি আর ওমর খৈয়ামের মত লেখা অনুবাদে পড়ি। উর্দুর মত এইরকম ঐশ্বর্যময়ী,বেতরিন ভাষায় শের শায়েরী তার কি কোন দুসরা হয়? তারপরে, যদি সঙ্গে থাকে ইয়ার দোস্ত, ঘাসের মখমলি গালিচায়, তাকিয়ায় হেলান দিয়ে সিরাজীর পেয়ালায় ঠোঁট ছুইয়ে, শায়েরীর বুলবুল দাও উড়িয়ে। শুন্য জীবন, অর্ধেক জীবন, সিকি জীবন পুর্ণ থেকে পূন্যতর হয়ে উঠবে অচিরেই। কি বলবেন? উল্লাস, উল্লাস না ইরশাদ, ইরশাদ?
আজ সকালে অনেকক্ষণ ধ্যানে বসেছিলুম। রোজই বসি। আজ বসেছিলাম দীর্ঘ ক্ষন। কোন গুরু নয়, নেই কোন দেবদেবী। নেহাৎই শূন্যের ধ্যান। হয়ত শুনে অনেকেরই অবাক লাগবে। এ আবার হয় নাকি? অয় অয় zIনতি পার না। আসলে সবই তো শূন্য দিয়ে শুরু। আর শূন্যতেই শেষ। এই শুন্যের সাথে যদি আপনার একটু ইয়ারদোস্তি হয় তাহলে দেখবেন আপনাকে আর কেউ ডরপুক আদমি বলবে না। আসলে আমাদের যত ভয় সব তো এই শূন্যকে ঘিরেই। তাই যখন শূন্যের পিঠে চেপে দোল খাবেন, দেখবেন ভয়ের সাগর আপনি কখন পেরিয়ে মহানন্দে মহাকাশের দোলনায় দোল খাচ্ছেন। অনেকটাই সেইরকম। তো আজ সকালের শূন্যফল হল ভারী জবরদস্ত। তনমন সব সাফ। একটু গোদা উদাহরণ দিই। ধরুন কোন এক কোষ্টকাঠিন্যে ক্লীষ্ঠ বাঙালী বাবু, কোন এক ' আজি এ প্রভাতে রবির করের মত..." দীর্ঘ দিনের ক্লেদমুক্ত হলে, তার মধ্যে যেমন একটা দিব্য অনুভূতি জাগে তার থেকেও দিব্যতর এক অনুভূতির রাজ্যে আপনার প্রবেশাধিকার ঘটবে। তাই বন্ধু,অবন্ধু সবাইকে আমার আমন্ত্রণ এই শূন্য রাজ্যে। সুনীলের দিকশূন্যপুর তো সবাই পড়েছেন, এ তারও গভীর গহনে। যেতে গেলে চাই ধৈর্য আর এক চামচে সাহস। শরীর শূন্য,মন শূন্য,ভয়শূন্য ভারী এক চমকদার অবস্থা। স্পেশ ষ্টেশনের মহাকাশচারীদের তো দেখেছেন, কেমন ভেসে ভেসে বেড়ায়। সেইরকমই হবে আপনার এই শুন্য সফর। শুরু করুন নেতি নেতি দিয়েই। মায়া শূন্য, মমতা শুন্য, দেহ শূন্য আরো আরো এগিয়ে যান। দেখবেন আলোয় আলোয় ভরা। কোন অন্ধকার নেই, ভয় নেই, নেই কোন বন্ধন। এক আনন্দময় জীবন হবে আপনার। তখন আমার কথা যদি মনে পরে একটু মুচকি মুচকি হাসবেন। এতে কোন গুরু লাগে না। শুধু বসে পরা, চাইলে শুয়েও পরতে পারেন।
ভেবেছিলাম আজ অর্ধেক জীবনের কথা বলব আপনাদের। কিন্তু শূন্য নিয়েই বহুক্ষণ ঘ্যানর ঘ্যানর করলাম। ফেসবুক কি এর বেশি ট্রাশ এলাও করবে? যা হোক, অর্ধেক না হোক সিকি দিয়েই শুরু করি। আসলে সকালের শূন্য বড় পুন্য, পুর্ণও রাখে আমায় সারাদিন। ভারী দিলবাহার হয়ে থাকি। আর শুরু করে দি আমার সফর। এ সফরে ট্রেন, প্লেনের টিকেটও কাটতে হয়না। নেই হোটেল,হলিডে হোম বুকিংএর ঝক্কি। চাই একটা ইচ্ছে গাড়ি তাতে টাইম মেশিন লাগানো। এ দেশ, সে দেশ, মহাদেশ মহাবিশ্ব সব জায়গায় আমার অবাধ যাতায়াত। আমার বর্তমান তো শুধু বর্তমান নয়, অতীত, ভবিষ্যৎ সব দিয়ে মোড়া। একেই বলে ম্যাজিক রিয়েলিজম। আমি এখানকারই বাসিন্দা। তাই আমার কোন বন্ধন নেই, পিছুটান নেই, সচ্চিদানন্দ হয়ে বসে আছি। আমার অতীতেরা আমার বর্তমানে হানা দেয়, ভবিষ্যতের কেউ কেউ উকি মারে। সবার সাথেই আমার ভারী সদ্ভাব। আপনারা কি করবেন, সেটা আপনাদেরই বিবেচ্য। এ ব্যাপারে আমি দিদির মতই ব্যক্তি সাধনায় ভারী বিশ্বাসী। আমাকে দেখে আপনারা ছাপ্পা মারুন, এ আমি চাইব না মোটেই।
অনেক বকর বকর হল। আমার অর্ধেক জীবনের একটা কথাই বলি শুধু আজ। আমার ইস্কুল বেলায় উর্দু শিখেছিলাম বেশ। আমাকে শিখিয়েছিল আমার ক্লাসের কামার আলি। লিখতে, পড়তে বেশ শিখেছিলাম । কিন্তু সে অভ্যেস রাখতে পারিনি মোটেই। প্রায় ভুলেই গেছি। কিন্তু ভারী খারাপ লাগে যখন গালিব, রুমি আর ওমর খৈয়ামের মত লেখা অনুবাদে পড়ি। উর্দুর মত এইরকম ঐশ্বর্যময়ী,বেতরিন ভাষায় শের শায়েরী তার কি কোন দুসরা হয়? তারপরে, যদি সঙ্গে থাকে ইয়ার দোস্ত, ঘাসের মখমলি গালিচায়, তাকিয়ায় হেলান দিয়ে সিরাজীর পেয়ালায় ঠোঁট ছুইয়ে, শায়েরীর বুলবুল দাও উড়িয়ে। শুন্য জীবন, অর্ধেক জীবন, সিকি জীবন পুর্ণ থেকে পূন্যতর হয়ে উঠবে অচিরেই। কি বলবেন? উল্লাস, উল্লাস না ইরশাদ, ইরশাদ?
No comments:
Post a Comment