Friday, 5 June 2020




বেলাশেষে জামাইষষ্ঠী
কাল গেছে জামাইষষ্ঠী। প্রতিবারেই আসে আবার চলেও যায়। শ্বশুর বাড়ী থেকে ডাক পড়ে নি কোনদিনই। তাদের নাকি নেই ওইসব। কি জানি কোন মগের দেশে বিয়ে হয়েছিল। অদ্ভুত সব নিয়ম। জামাই ষষ্ঠী নেই,ভাঁইফোটা নেই। কি অদ্ভুত না? এরা অবশ্য নিজেদের বাঙালী বলে দাবী করে না। বলে তেনারা নাকি বাঙাল। বাঙালির একদম উল্টো মেরুর মানুষজন। আসলে কোন ছোটবেলায় বে হয়েছে, বুঝতেই পারিনি কি হচ্ছে, হচ্ছেই বা কোন মগের মুল্লুকে। বুঝলে কি আর ওমুখো হতুম? তবে যাই বলিনা কেন, আমার শ্বশুর,শ্বাশুড়ি ভারী ভালোমানুষ ছিলেন। অযাচিত স্নেহবর্ষণ করে গেছেন জীবনভোর। আর জামাইষষ্ঠী নিয়ে একটা আফসোস থেকে গেলেও তা পুষিয়ে দিয়ে গেছেন কিন্তু ষোল আনায় নয় আঠারো আনায়। আর এখন তো শ্বশুর শ্বাশুড়ি দুজনেই প্রয়াত। তাই সেই ডাক পাবার আশা, ভরসা গেছে টুঁটে।
কাল গেছে এক বিস্ময়কর দিন। বেলাশেষের মরসুম যাচ্ছে। করোনায় আপন করে নেয়, না আমfun আমায় নিয়ে লোফালুফি খেলে তাই নিয়েই ত্রস্ত থাকি।
এসময় ওপর থেকে ডাক! না না সে ওপর নয়, ওপরের ফ্ল্যাটে ছোট শ্যালিকার দুই সুপুত্রী,রাধিকা আর রুকমিনীর কাছ থেকে জরুরী তলব। যেতে হবে, ভারী জরুরী কাজ।
গিয়ে তো বিস্ময়ে শিবনেত্র অবস্থা। আজ নাকি আমাদের জামাইষষ্ঠী। এ কি বিস্ময় জাগে প্রাণে। শ্বশুর শ্বাশুড়ি বেঁচে থাকতে হলোনি। আজ বেলাশেষে এ কোন আমন্ত্রণ? ভারী মজবুত আর দমদার বন্দোবস্ত। জামাইষষ্ঠীর কেক,গ্লাসভর্তি সোনালী পানীয় আর আরসালানের বিরিয়ানি। কাল যেন আসমান থেকে খোদার রহমৎ ঝরে পড়ল। ওই যে কথায় আছে না, ভগবান কা ঘর মে দের হ্যায় আন্ধের নেহী।
আঁধার কেটে যখন আলোর প্রকাশ হয়েই গেল তখন থেকেই যাই আর কবছর, কি বলেন? আপনারাও দাবী তুলুন, "আসছে বছর আবার হবে।"
আমার বিশ্বাস আগামী বছরও হবে। হতেই হবে। আর এবারের মতই সে উৎসবেরও পুরোহিত হবেন এরাই, রাধিকা আর রুকমিনী।



Jayasree Roychowdhury, Balaram Banerjee and 106 others

56 comments

2 shares


Like
Comment
Share

No comments:

Post a Comment