নদীর সাথে,নারীর সাথে
ইদানীং বেশ ঘন ঘন বেড়িয়ে পরা যাচ্ছে। ছোট ছোট ট্যুর। খুব বড় নয়, ৪/৫ দিনের! কাছেপিঠেই। এবার এলেম সীসামারা নদীর পাশে এক রিসর্টে। টংয়ের উপর বাড়ী। লোহার সিড়ি পেরিয়ে অনেকটাই উচুতে। চারিদিক নিবিড় বনে ঘেরা আর সামনেই ছোট্ট পাহাড়ী নদী, সীসামারা। ঘরের সামনের বারান্দায় বসেই চোখে পড়ে ময়ুরের নাচ, নদীর পার ঘেষে দল বেঁধে তাদের খাদ্য অন্বেষণ । এবারের এই সফরে নদীর এক বিশেষ ভুমিকা। এই নদীর বর্ষায় হয়ত অন্যরুপ। তবে শীতের আগমনে সে যেন তটীনি সম এক সুন্দরী নারী। আমাদের নারীবর্জিত এই ট্যুরে নারীর স্থান তার সব মাধুরী দিয়ে পরিপুর্ন করে রেখেছে সীসামারা নদী । পান পাত্র উছলি উঠিছে সকাল সন্ধ্যেই। কচিপাঁঠা থেকে নদীর বোরোলী মাছ নিরন্তর মিটিয়ে যাচ্ছে রসনা। তবু এই বেড়ানোটা একেবারে অন্যরকম। অপার্থিব রকমের কিছু একটা। আগে যেন এমনটি হয়নি কোন দিনও।
সম্মোহিত করে রেখেছে আমাদের, এই অরণ্য, এই নৈশব্দ, পুর্ণিমা চাঁদ আর জ্যোৎস্নাস্নাত এই নদী পাহাড়, অরণ্য। আমরা যেন চন্দ্রাহত । দিনরাত্রি তার সৌন্দর্যেই আমরা রমণীয় হয়ে উঠছি। এই নদীরুপ নারীর বুকেই আমরা সমর্পন করেছি নিজেদের বারবার প্রতিদিন। সব ক্লান্তি ধুয়ে মুছে পরিপূর্ণ হয়ে উঠছে জীবন। জীবন যেন এখানে এক অনন্ত রমণ। নদীর সাথে, পাহাড়ের সাথে অরণ্যের সাথে। আমরা মেতে উঠেছি অনন্তের সাথে ক্লান্তিহীন সঙ্গমে। কে বলে জীবন ক্ষণস্থায়ী? আমরা খুঁজে পেলাম এমন এক জীবন যা অসীম, অনন্ত মধুময়।
....বেশ রাতে সবার অজান্তে পৌঁছে গেলাম নদীর কাছে। যেন গোপন অভিসার। নদীর জল মনে হল জ্যোৎস্নার ধারা, জমাট সাদা। একটু ঝুঁকে সেই জলে হাত ছুঁইয়ে রাখলাম।
বেশ কিছুক্ষণ বসে রইলাম নদীর পাশে। নদীর ওপারে এক চকিতা হরিণী জল খেতে এসে আমার সাথে চোখাচোখি করে গেল। এই নির্জনে সেই আমার সঙ্গীনী। আমি আকাশের দিকে তাকালাম। এমন জ্যোৎস্না আমি কখনোই দেখিনি। এই শান্ত নীরবতায় সে যেন শতগুণ উদ্ভাসিত হয়েছে। এই অরণ্যের মধ্যে চন্দ্রকিরণে ভেসে যাওয়া এক নদী আর আমি এক একা মানুষ। এ যেন হাজার বছরের আগের। আমার চারিদিকের যা রুপ, সে কেবল নারীর মধ্যেই থাকতে পারে।এই ভরা জ্যোৎস্না সে তো কোনো নারীই। এই স্তব্ধ গহন বন, সে নারী ছাড়া আর কিই বা হতে পারে? প্রকৃতির কাছে এসে সেই নারীকেই আমি পাই। এই বনজ্যোৎস্না, এই আঁধার অরণ্য তার অপার রহস্যময়তা, সেও তো নারীরই রুপ।
আমি জন্ম রোমান্টিক।এই অপরুপ রাত্রি আমার কাছে ধরা দিল এক নারীর বেশে।আমি চারিপাশের শূন্যতাকে আলিঙ্গন করি, প্রগাড় চুম্বন দিই নদীকে, বেলাভূমিকে। শুয়ে পড়ি বালির ওপরে, প্রণয়খেলা শুরু হয়।
প্রকৃতির সাথে এত নিবিড় প্রণয় আমার কখনো হয়নি। প্রকৃতিকেও কখনো এমন বহু ইস্পিতা নারী হিসেবে পাইনি কখনো। আমি তার শরীরের সাথে শরীর মেশাই, শরীরের গন্ধ নিই। নিতে নিতে আমি ঘুমিয়ে পড়ি সেই জ্যোৎস্নালোকে নদীকে নিয়ে, নারীকে নিয়ে।
এটা আমাদের সীসামারা ভ্রমণের স্মৃতি মাথায় রেখে। সে ছিল এক অলৌকিক ভ্রমণ। আমরা যারা গিয়েছিলাম, তাদের সবার মনে স্থায়ী দাগ রেখে গেছে। বিশেষ করে সীসামারা নদীকে যে ভাবে পেয়েছিলাম, তা ভোলার নয়।
ইদানীং বেশ ঘন ঘন বেড়িয়ে পরা যাচ্ছে। ছোট ছোট ট্যুর। খুব বড় নয়, ৪/৫ দিনের! কাছেপিঠেই। এবার এলেম সীসামারা নদীর পাশে এক রিসর্টে। টংয়ের উপর বাড়ী। লোহার সিড়ি পেরিয়ে অনেকটাই উচুতে। চারিদিক নিবিড় বনে ঘেরা আর সামনেই ছোট্ট পাহাড়ী নদী, সীসামারা। ঘরের সামনের বারান্দায় বসেই চোখে পড়ে ময়ুরের নাচ, নদীর পার ঘেষে দল বেঁধে তাদের খাদ্য অন্বেষণ । এবারের এই সফরে নদীর এক বিশেষ ভুমিকা। এই নদীর বর্ষায় হয়ত অন্যরুপ। তবে শীতের আগমনে সে যেন তটীনি সম এক সুন্দরী নারী। আমাদের নারীবর্জিত এই ট্যুরে নারীর স্থান তার সব মাধুরী দিয়ে পরিপুর্ন করে রেখেছে সীসামারা নদী । পান পাত্র উছলি উঠিছে সকাল সন্ধ্যেই। কচিপাঁঠা থেকে নদীর বোরোলী মাছ নিরন্তর মিটিয়ে যাচ্ছে রসনা। তবু এই বেড়ানোটা একেবারে অন্যরকম। অপার্থিব রকমের কিছু একটা। আগে যেন এমনটি হয়নি কোন দিনও।
সম্মোহিত করে রেখেছে আমাদের, এই অরণ্য, এই নৈশব্দ, পুর্ণিমা চাঁদ আর জ্যোৎস্নাস্নাত এই নদী পাহাড়, অরণ্য। আমরা যেন চন্দ্রাহত । দিনরাত্রি তার সৌন্দর্যেই আমরা রমণীয় হয়ে উঠছি। এই নদীরুপ নারীর বুকেই আমরা সমর্পন করেছি নিজেদের বারবার প্রতিদিন। সব ক্লান্তি ধুয়ে মুছে পরিপূর্ণ হয়ে উঠছে জীবন। জীবন যেন এখানে এক অনন্ত রমণ। নদীর সাথে, পাহাড়ের সাথে অরণ্যের সাথে। আমরা মেতে উঠেছি অনন্তের সাথে ক্লান্তিহীন সঙ্গমে। কে বলে জীবন ক্ষণস্থায়ী? আমরা খুঁজে পেলাম এমন এক জীবন যা অসীম, অনন্ত মধুময়।
....বেশ রাতে সবার অজান্তে পৌঁছে গেলাম নদীর কাছে। যেন গোপন অভিসার। নদীর জল মনে হল জ্যোৎস্নার ধারা, জমাট সাদা। একটু ঝুঁকে সেই জলে হাত ছুঁইয়ে রাখলাম।
বেশ কিছুক্ষণ বসে রইলাম নদীর পাশে। নদীর ওপারে এক চকিতা হরিণী জল খেতে এসে আমার সাথে চোখাচোখি করে গেল। এই নির্জনে সেই আমার সঙ্গীনী। আমি আকাশের দিকে তাকালাম। এমন জ্যোৎস্না আমি কখনোই দেখিনি। এই শান্ত নীরবতায় সে যেন শতগুণ উদ্ভাসিত হয়েছে। এই অরণ্যের মধ্যে চন্দ্রকিরণে ভেসে যাওয়া এক নদী আর আমি এক একা মানুষ। এ যেন হাজার বছরের আগের। আমার চারিদিকের যা রুপ, সে কেবল নারীর মধ্যেই থাকতে পারে।এই ভরা জ্যোৎস্না সে তো কোনো নারীই। এই স্তব্ধ গহন বন, সে নারী ছাড়া আর কিই বা হতে পারে? প্রকৃতির কাছে এসে সেই নারীকেই আমি পাই। এই বনজ্যোৎস্না, এই আঁধার অরণ্য তার অপার রহস্যময়তা, সেও তো নারীরই রুপ।
আমি জন্ম রোমান্টিক।এই অপরুপ রাত্রি আমার কাছে ধরা দিল এক নারীর বেশে।আমি চারিপাশের শূন্যতাকে আলিঙ্গন করি, প্রগাড় চুম্বন দিই নদীকে, বেলাভূমিকে। শুয়ে পড়ি বালির ওপরে, প্রণয়খেলা শুরু হয়।
প্রকৃতির সাথে এত নিবিড় প্রণয় আমার কখনো হয়নি। প্রকৃতিকেও কখনো এমন বহু ইস্পিতা নারী হিসেবে পাইনি কখনো। আমি তার শরীরের সাথে শরীর মেশাই, শরীরের গন্ধ নিই। নিতে নিতে আমি ঘুমিয়ে পড়ি সেই জ্যোৎস্নালোকে নদীকে নিয়ে, নারীকে নিয়ে।
এটা আমাদের সীসামারা ভ্রমণের স্মৃতি মাথায় রেখে। সে ছিল এক অলৌকিক ভ্রমণ। আমরা যারা গিয়েছিলাম, তাদের সবার মনে স্থায়ী দাগ রেখে গেছে। বিশেষ করে সীসামারা নদীকে যে ভাবে পেয়েছিলাম, তা ভোলার নয়।














No comments:
Post a Comment